স্পার্ম তিমির নামকরণ

 Sperm Wheal (স্পার্ম তিমি) হলো দাঁত যুক্ত সবচেয়ে বড়ো তিমি। এদের পুরুষ প্রজাতি প্রায় ১৩ মিটার লম্বা, যা পাঁচটা হাতির চেয়ে বড়ো, ও মহিলা প্রজাতি ১২ মিটার লম্বা হয়। কিন্তু এই বিশাল দেহি প্রাণীটার অদ্ভুত ধরণের নামটা সবার আকর্ষণ কাড়ে!

স্পার্ম তিমির দেহের আকার।
সোর্সঃ Britannica

তো স্পার্ম তিমি এর কথা শুনলে সবার  আগে মাথাই আছে স্পার্ম বা বীর্যের কথা। যদিও এই নামটা এসেছে তার মাথায় থাকা ২ টনের অধিক spemaceti নামক সাদা তরলের থেকে, যা দেখে বীর্যের মনে করাই এই নাম! মজার বিষয় হলো এই তরল আসে এক প্রকার সামুদ্রিক স্কুইডের থেকে, যারা পানির ২ কি.মি. এর অধিক গভীরে থাকে।

তিমি দিনের বেশিরভাগ সময় সমুদ্রের ওপরিভাগে থাকলেও, রাতে নেমে এলে গভীর অতলে নামতে থাকে তার এই স্কুইড খাওয়ার সন্ধানে।

তিমির মাথার বড়ো অংশ জুড়ে এই spermaceti থাকে।
ছবিঃ wikimedia

 

কথা আসে এই বিশাল দৈত্য পানির নিচে এত সহজে যাওয়া আসে করে কীভাবে?

এর উত্তরটা তার মাথাই থাকা ২ টনের অধিক spermaceti পদার্থের জন্য। এই পদার্থের মেল্টিং পয়েন্ট ৩১° এবং তিমির দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭°। এজন্য সমুদ্রের ওপরিভাগে এরা ভেসে থাকলে এই পদার্থ তরল অবস্থায় থাকে।

 

কিন্তু যখন সমুদ্রে গভীর যেতে থাকে, আশেপাশে অন্ধকার নেমে আসে (আলো না পৌঁছানোই), তাপমাত্রাও কমতে থাকে আসেপাশের পরিবেশের। এই তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে তিমির মাথার spemaceti এর তাপমাত্রা কমে তা কঠিন হয়ে যায়। শিকার শেষে আবার ওপরে ওঠলে আবার তরল হয়। এভাবে তিমিরা যাতায়াত করে।

 

তবে মানুষ এই পদার্থকে স্পার্ম ভাবত তার কারণ ছিল এটা সাদা অর্ধতরল একটা পদার্থ। ১৮ শতকের দিকে তিমি হত্যার জন্য বিভিন্ন ইন্ড্রাস্ট্রি গড়ে ওঠাই, এই নামটা ধীরে ধীরে প্রসিদ্ধ হয়। এই তরল মোম, কসমেটিক, ইন্ড্রাসটিয়াল ব্যবহারসহ বহু কাজে আসে। এর জন্য তিমি নিধন বেড়ে যায়, এবং বর্তমানে তা বিলুপ্তি প্রজাতির প্রাণী তিনি রেড লিস্টে নাম আছে। যে কয়টা বেঁচে আছে তাও ৬০ এর দশকে করা তিমি হত্যা নিষিদ্ধ করণের জন্য।

 

(হাইজেনবার্গের গল্প ও, ব্রিটানিকা থেকে নেওয়া হয়েছে)।

আর্কাইভ

সমস্যা বা ফিডব্যাক জানাতে যোগাযোগ করুন

প্রেরণ