উত্তর মেরুর চাঁদ
ভিডিয়োটা সত্য কী মিথ্যা, তা জানার আগে একটু বোঝা দরকার চাঁদ কী আসলেই এত কাছে আসতে পারে!
চাঁদ কী পৃথিবীর এত কাছে আসে কিনা তা Celestial mechanics এ পাওয়া যায়, যা রচ লিমিট নামে পরিচিত। ১৮৪৮ সালে ফেঞ্চ জোর্তিবিদ এডওয়ার্ড রোচ সর্বপ্রথম থিওরেটিক্যাল দুটো মহাকাশীয় বস্তুর মধ্যে একটা লিমিট দেন।
প্রাথমিক বস্তু থেকে দ্বিতীয় বস্তুটি কত দূরত্বে থাকলে তারা নিজেদের গ্রাভিটির দ্বারা পরস্পরকে ধরে রাখতে পারবে, কারণ দূরত্ব কমে এলে প্রথম বস্তুর মহাকর্ষীয় বল দ্বিতীয় বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষীয় বলের চেয়ে বেশি হলে, দ্বিতীয় বস্তু নিজের গ্রাভিটি দিয়ে ধরে রাখতে পারবে না এবং খন্ডবিখন্ড হয়ে যাবে ও প্রাথমিক বস্তুর চারদিকে রিং এর সৃষ্টি করবে। রচ লিমিটের নির্দিষ্ট দূরত্বকে Roche radius বা রচ ব্যাসার্ধ বলা হয়। এখানে প্রাথমিক বস্তু ও দ্বিতীয় বস্তুর ব্যাসার্ধের অনুপাত ও বস্তুদ্বয়ের ঘনত্বের পার্থক্যের ওপর রচ ব্যাসার্ধ নির্ণয় হয়।

অর্থাৎ পৃথিবীর কাছাকাছি চাঁদ একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করলে, চাঁদ শনি গ্রহের মতো রিং এ পরিণত হবে। এই দুরত্বটা হলো ১১,৪৭০ মাইল বা ১৮৪৭০ কি.মি. এর মতো।
এত কথা বলার কারণ হলো চাঁদ যতটা কাছে এই ভিডিয়োতে দেখাচ্ছে তা মূল চাঁদের চেয়ে ৫০-১০০ গুণ বড়ো। এতটা বড়ো চাঁদ দেখতে অবশ্যই রচ লিমিট ক্রস করবে, যেটা হলে চাঁদ দেখাই সম্ভব হবে না।
আর চাঁদের থেকে পৃথিবীর গড় দুরত্ব ২৩৮,৮৫৫ মাইল (৩৮৪,৪০০ কি.মি.)। মানে খুব একটা কাছেও না যে কখনও ৫০-১০০ গুণ বড়ো দেখা সম্ভব। যখন চাঁদ পৃথিবীর সবেচেয়ে কাছে থাকে, তখন দূরত্ব হয় ৩৬৩,১০৪ কি.মি., যার ফলে ৩০% বড়ো চাঁদ দেখা সম্ভব হয় (এতটাও বেশি না)। এছাড়াও পূর্ণিমার সময় চাঁদ বড়ো দেখা যায়, সেটা কতটুকু চোখে আসে আমরা সবাই জানি।
এবারে আসা যাক ভিডিয়োটা নিয়ে-
Aleksey__nz নামের একটি টিকটক একাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি প্রকাশ পায়। সেখানে ভিডিয়োটি সর্বমোট ভিও প্রায় ২০ মিলিয়ন।
Aleksey একজন CGI Artist, তিনি এরকম আরও ভিডিয়ো বানিয়েছেন যা দেখে বাস্তব মনে হয়, এবং মানুষও বিভ্রান্তির শিকার হয়েছে। আর তার থেকে এন্টার্কটিকা, উত্তর মেরু সহ….. নামে যে যেভাবে পেরেছে প্রকাশ করেছে।
ভিডিয়োরটির মূল সোর্সঃ
https://www.tiktok.com/@aleksey__nz
ইনিশ্টাগ্রামে-
https://instagram.com/aleksey__n?utm_medium=copy_link
চাঁদ কী পৃথিবীর এত কাছে আসে কিনা তা Celestial mechanics এ পাওয়া যায়, যা রচ লিমিট নামে পরিচিত। ১৮৪৮ সালে ফেঞ্চ জোর্তিবিদ এডওয়ার্ড রোচ সর্বপ্রথম থিওরেটিক্যাল দুটো মহাকাশীয় বস্তুর মধ্যে একটা লিমিট দেন।
প্রাথমিক বস্তু থেকে দ্বিতীয় বস্তুটি কত দূরত্বে থাকলে তারা নিজেদের গ্রাভিটির দ্বারা পরস্পরকে ধরে রাখতে পারবে, কারণ দূরত্ব কমে এলে প্রথম বস্তুর মহাকর্ষীয় বল দ্বিতীয় বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষীয় বলের চেয়ে বেশি হলে, দ্বিতীয় বস্তু নিজের গ্রাভিটি দিয়ে ধরে রাখতে পারবে না এবং খন্ডবিখন্ড হয়ে যাবে ও প্রাথমিক বস্তুর চারদিকে রিং এর সৃষ্টি করবে। রচ লিমিটের নির্দিষ্ট দূরত্বকে Roche radius বা রচ ব্যাসার্ধ বলা হয়। এখানে প্রাথমিক বস্তু ও দ্বিতীয় বস্তুর ব্যাসার্ধের অনুপাত ও বস্তুদ্বয়ের ঘনত্বের পার্থক্যের ওপর রচ ব্যাসার্ধ নির্ণয় হয়।

অর্থাৎ পৃথিবীর কাছাকাছি চাঁদ একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করলে, চাঁদ শনি গ্রহের মতো রিং এ পরিণত হবে। এই দুরত্বটা হলো ১১,৪৭০ মাইল বা ১৮৪৭০ কি.মি. এর মতো।
এত কথা বলার কারণ হলো চাঁদ যতটা কাছে এই ভিডিয়োতে দেখাচ্ছে তা মূল চাঁদের চেয়ে ৫০-১০০ গুণ বড়ো। এতটা বড়ো চাঁদ দেখতে অবশ্যই রচ লিমিট ক্রস করবে, যেটা হলে চাঁদ দেখাই সম্ভব হবে না।
আর চাঁদের থেকে পৃথিবীর গড় দুরত্ব ২৩৮,৮৫৫ মাইল (৩৮৪,৪০০ কি.মি.)। মানে খুব একটা কাছেও না যে কখনও ৫০-১০০ গুণ বড়ো দেখা সম্ভব। যখন চাঁদ পৃথিবীর সবেচেয়ে কাছে থাকে, তখন দূরত্ব হয় ৩৬৩,১০৪ কি.মি., যার ফলে ৩০% বড়ো চাঁদ দেখা সম্ভব হয় (এতটাও বেশি না)। এছাড়াও পূর্ণিমার সময় চাঁদ বড়ো দেখা যায়, সেটা কতটুকু চোখে আসে আমরা সবাই জানি।
এবারে আসা যাক ভিডিয়োটা নিয়ে-
Aleksey__nz নামের একটি টিকটক একাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি প্রকাশ পায়। সেখানে ভিডিয়োটি সর্বমোট ভিও প্রায় ২০ মিলিয়ন।
Aleksey একজন CGI Artist, তিনি এরকম আরও ভিডিয়ো বানিয়েছেন যা দেখে বাস্তব মনে হয়, এবং মানুষও বিভ্রান্তির শিকার হয়েছে। আর তার থেকে এন্টার্কটিকা, উত্তর মেরু সহ….. নামে যে যেভাবে পেরেছে প্রকাশ করেছে।
ভিডিয়োরটির মূল সোর্সঃ
https://www.tiktok.com/@aleksey__nz
ইনিশ্টাগ্রামে-
https://instagram.com/aleksey__n?utm_medium=copy_link